পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে আমের দাম না পেয়ে চাষিরা হতাাগ্রস্থ

পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে আমের দাম না পেয়ে চাষিরা হতাাগ্রস্থ
বানেশ্বর আম বাজার

দৈনিক চারঘাট ডেস্কঃ পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে আমের দাম না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। চলতি বছর আমের ভালো ফলন হলেও বাজারে কাঙ্ক্ষিত দাম মিলছে না। এ অবস্থায় আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমচাষিরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন জাতের আম একসঙ্গে পেকে গেছে। ফলে মৌসুমের শুরুতেই বাজারে আমের ব্যাপক সরবরাহ তৈরি হয়।

অন্যদিকে ঈদুল আজহার দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটিতে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকায় অনেক পাইকারি ক্রেতা আম কেনার জন্য মাঠে নামতে পারেননি। ঈদের পরও হাটে পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকায় আমের দাম মারাত্মকভাবে পড়ে গেছে।

তারা আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। লেনদেন না থাকায় চাষিরা আম নিয়ে বাজারে এলেও কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতি মন আমের সঙ্গে অতিরিক্ত ৪-৫ কেজি ঢল নিচ্ছেন পাইকাররা, যার ফলে বাগান মালিকেরা আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১,৫৪০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১২.৫ মেট্রিক টন। মোট আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৯ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হলেও চাহিদার তুলনায় আমের অতিরিক্ত সরবরাহ এবং পাইকারদের অনুপস্থিতি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বর্তমানে বানেশ্বর বাজারে প্রতি মন লখনা আম বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, খিরসা ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, ল্যাংড়া ১,২০০ থেকে ১,৩০০ টাকা এবং আম্রপালি ১,৩০০ থেকে ১,৫০০ টাকায়। জুন মাসের শেষে বাজারে আসার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে কিছু ফজলি আমও উঠেছে, যার দাম ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত।

পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী বলেন, "এবার ফলন ভালো হলেও ঈদের দীর্ঘ ছুটি ও অতিরিক্ত গরমে মানুষের আম কেনার আগ্রহ কমে গেছে। বাজারে চাহিদার ঘাটতিই মূলত দরপতনের কারণ। তবে আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।"