ভিটামিন ডির অভাবে চুল ও ত্বকের ক্ষতি বুঝবেন যেভাবে

ভিটামিন ডির অভাবে চুল ও ত্বকের ক্ষতি বুঝবেন যেভাবে

দৈনিক চারঘাট ডেস্ক: আপনার শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ার কারণ ভিটামিন ডির অভাব। পাশাপাশি চুল ও ত্বকেও প্রভাব পড়তে পারে ভিটামিন ডির অভাবে। আর ভিটামিন ডির অভাবে শরীরে শুধু চুল ও ত্বক নয়; আরও নানান রোগ সৃষ্টি করে। আপনিও এই ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন কিনা, তা জানবেন কীভাবে।

ভিটামিন ডির অভাবে ভুগছেন অথচ টেরও পাচ্ছেন না আর শরীরে নানাবিধ রোগ বাসা বাঁধছে। বারবার রক্ত পরীক্ষা করানোও সম্ভব নয় অনেকের পক্ষে। কারণ ভিটামিন ডি পরীক্ষার খরচ অন্য রক্ত পরীক্ষার থেকে অনেক বেশি। কিন্তু আপনি জানেন কি— শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের দিকে তাকালে বিষয়টি টের পাওয়া কঠিন নয়? বিশেষ করে, ভিটামিন ডির ঘাটতির ফলে চুল ও ত্বকে নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এই যেমন চুলের স্বাস্থ্য। সুস্থ চুলের জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। চুলের ফলিকলগুলো সক্রিয় রাখতে এর প্রয়োজন। জেনে নিন চুলে যে প্রভাব পড়ে?

নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে ভিটামিন ডি। এর মাত্রা কম থাকলে চুলের ফলিকলগুলো সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। ফলে চুল ঝরে পড়ে পাতলা হয়ে যেতে পারে। এর ফলে কপাল চওড়া দেখাবে।

দ্বিতীয়ত এই ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারে, যা একটি অটোইমিউন রোগ। সেই সঙ্গে চুল বৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে পড়বে এই ভিটামিনের অভাবে।

এ ধরনের লক্ষণগুলো স্বাভাবিক মনে হতে পারে কিংবা অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। যেমন চুল ঝরে পাতলা হয়ে যাওয়া, চুল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা উপসর্গ চোখ এড়িয়ে যায়। কিন্তু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলে বোঝা যাবে— ভিটামিন ডির অভাবই গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এ ছাড়া ত্বকের স্বাস্থ্য। ভিটামিন ডি ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের মেরামতিতে খুবই কার্যকরী। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করে কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আর ভিটামিন ডির অভাবে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে কিংবা রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া চোট-আঘাতের পর ত্বককে নিরাময়ে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। তাই এর অভাবে এ প্রক্রিয়াটির গতি ধীর হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়; পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ছাড়া ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে এবং ক্লান্ত দেখাতে পারে। 

যেহেতু ভিটামিন ডি ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তাই এর মাত্রা কমে গেলে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যাগুলোর ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর শুষ্ক ত্বক আসলে ত্বকেরই একটি ধরন। তাই ময়েশ্চারাইজার ও তেল মেখে ত্বকের রুক্ষতা কমানো ছাড়া আর কিছু ভাবেন না অনেকেই। খুব বেশি হলে শরীরের জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনকে কারণ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু চুলে ও ত্বকে এজাতীয় পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হয়ে যাবেন, ভিটামিন ডির অভাবে তা ঘটছে না তো।