রাজশাহীতে মেডিসিনাল প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন ওয়ার্কশপ

রাজশাহীতে মেডিসিনাল প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন ওয়ার্কশপ

রাজশাহীর একটি হোটেলের হল রুমে  শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেডিসিনাল প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজক ছিলো বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচার্স এসোসিয়েশন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর উপসচিব এবং পরিচালক বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (বিপিসি) ড. মো.রাজ্জাকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কার্যালয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কে.এম. মুহসীনিন মাহাবুব ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর রাজশাহী ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো: শরিফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের প্রাক্তন ডিন ও রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো:সাহেদ জামান। মুখ্য আলোচক ছিলেন বামার কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা শিবব্রত রায়।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাকিম মো: ইউসুফ হারুন ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ডা:মো: মিজানুর রহমান।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, উত্তরবঙ্গ আয়ুর্বেদিক ঔষধ বানানোর উপযুক্ত জায়গা। দেশের ও দেশের বাইরের গবেষকগণ অনেকেই এটি জানেন। এখন মেডিশনাল প্লান্ট ইমপোর্ট করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা এক্সপোর্ট করতে পারছিনা। তিনি এই বিষয়ে আরো বেশি গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরো বলেন, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি অনেক ভালো। তাই দেশের যে এলাকায় যেসব আয়ুর্বেদিক গাছ বেশি হয় সেটি আরো বিস্তৃত করতে হবে সেসব এলাকায়। এ সময় তিনি রাজশাহীতে একটি ঔষধি গ্রাম করার আহবান জানান সকলের প্রতি। এছাড়াও ঢাকার ঔষধ কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীতে আয়ুর্বেদিক শিল্পে সহায়তা করার জন্য।

তিনি তার বক্তব্যে আয়ুর্বেদিক গাছের চাষাবাস কি সার ব্যবহার হবে পানি কেমন লাগবে এগুলো বিষয়ে টেকনিক্যাল জ্ঞান জানাতে এই শিল্পের সাথে জড়িত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন চায়না এবং ইন্ডিয়া আয়ুর্বেদিক শিল্পে অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশেও আয়ুর্বেদিক শিল্পের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে । আমাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা কোন তাপমাত্রায় ওষুধ গুলো রাখতে হবে উন্নত ফর্মুলা যে সকল বিষয় আরো ব্যাপক জ্ঞান রাখতে হবে। তিনি জানান, গাছামো ঔষধের উপর মানুষের দুর্বলতা থাকলেও প্রচারের অভাবে বাংলাদেশের এই শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না সেইভাবে।

বামার কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা ও এসবি ল্যাবরেটরিজ এর কর্ণধার শিবব্রত রায় বলেন, রাজশাহীতে একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। এতে বোঝা যাবে কোন ঔষধ গুলোর মান কেমন এবং কোন প্রতিষ্ঠান কি ধরনের ঔষধ তৈরি করছে। এখান থেকে একটি সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। তিনি সরকারসহ এই সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সেন্ট্রাল লাইব্রেরী স্থাপনের জন্য রাজশাহীতে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।