যমুনা নদীর তীরে মিলল ১১ মর্টারশেল

যমুনা নদীর তীরে মিলল ১১ মর্টারশেল
১১টি বিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর থেকে ১১টি বিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকা থেকে মর্টারশেলগুলো উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সামরিক অস্ত্র। মরিচা ধরা অবস্থায় মর্টারশেলগুলো একত্রে পড়ে ছিল। কিছু শেলের গায়ে জং ধরে গেছে, আবার কিছু শেলের ভেতরের অংশ ফাঁপা হয়ে আছে। 

স্থানীয়রা জানান, মো. শাহাদত নামে এক ব্যক্তি যমুনা নদীর পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে মর্টারশেলগুলোর খোঁজ পান। হঠাৎ এসব বস্তু দেখতে পেয়ে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এবং পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টারশেলগুলো উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসে। 

এলাকাবাসীর দাবি, উদ্ধার হওয়া মর্টারশেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের স্মারক। তাদের মতে, ১৯৭১ সালে এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা যমুনা নদীর তীরে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই জাহাজ থেকেই মর্টারশেলগুলো নদীর তীরে চলে এসেছে।

স্থানীয় রুবেল সরকার, মনির মণ্ডল ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছেন এই এলাকায় একটি পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। সেই স্মৃতিই আজ যেন আবার ফিরে এসেছে এই মর্টারশেল উদ্ধারের মাধ্যমে।

নিকরাইল ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে এসে আমি মর্টারশেলগুলো নিজ চোখে দেখি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ভূঞাপুর থানায় খবর দেই এবং এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করি, যেন শেলগুলো সঠিক প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা যায়।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মর্টারশেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন। অধিকাংশেরই ভিতরে কোনো বিস্ফোরক নেই। শেলগুলো সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।