দৈনিক চারঘাট: অবশেষে ৪১ বছর পরে ঐতিহ্য প্রমত্তা বড়াল নদী তার প্রান ফিরে পেলো বড়ালের পানি প্রবাহ বদ্ধিও লক্ষ্য অবশেষে ৪১ বছর পরে রাজশাহীর চারঘাট বড়াল নদীর উপরনির্মিত স্লুইসগট অপসারণর কাজ শুরু হয়েছে।
নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং এলাকার পরিবেশগত উনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই স্লুইসগট অপসারণের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হবে এবং মরা বড়াল নদী পুনরায় প্রান ফিরে পাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভয়াল থাবা থেকে বড়ালের আশপাশের মানুষকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে ১৯৮৪ সাল চারঘাটে বড়ালের উপরনির্মান করা হয় স্লুইসগট। প্রথম প্রথম এটি মানুষর কণ্যান কাজে আসলেও দীর্ঘদিন ধরে বড়ালের দুইপাশে দখল ,দুষন আর অপরিকল্পিত খননের ফলে বড়াল মরা খালে পরিনত হয়। বড়ালের উৎসমুখ পলি মাটি জমে পানি প্রবাহবাধা সৃষ্টি করতে থাকে।
দীর্ঘ ৪১বছর পরে চলতি মৌসুমে চারঘাট ঐতিহ্য প্রমত্তা বড়াল নদী তার প্রান ফির পেয়েছে। খরস্রাতা বড়াল নদীটি এক সময় শুকিয় মরাখালে পরিনত হয়েছিলো। এবার পদ্মা মাহনায় পানি আসার আগে চারঘাটর তিনটি স্লুইসগেট সম্পূর্ণভাব খুলে দেওয়ার কারনে বড়াল প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সুইসগেটের উপর নিমার্ণ করা হয়ছিল তিনটি রগুলটর । এরপর থেকে বড়াল তার যৌবন হারাতে বসে।
দীর্ঘ ৪১ বছর পর বড়াল নদী তার ঐতিহ্য বা যৌবন ফিরে পয়েছে। এবিষয় মৎস্য চাষী রবিউল ইসলাম জানান,এক সময় বড়াল নদীত মাছ শিকার কর জীবিকা নিবার্হী করতাম। দীর্ঘদিন বড়াল পানি না থাকায় বা মরা খাল পরিনত হওয়ায় মাছ শিকার করতে পারিনি।
এবছর হঠাৎ করে পদ্মার পানি বড়াল আসায় বুকটা ভরে উঠছে এবং আশা করছি আগের মত ছাট ডিঙ্গায় মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা সংসার চালাতে পারবো। জেলে নাসির ও কালু জানান, পদ্মার মোহনায় মুখ পানি বন্ধ ও সুইসগট এর রেগুলেটর বন্ধ থাকায় বড়াল নদী নাব্যতা হারিয়ে যায়, তবে চলতি বছরে নদীর পানি আসায় খুশি,এখন মনে হচ্ছে বড়াল নদী। মাছ ধরা বাজার বিক্রি করে সংসার চলাতে পারবে।
এ বিষয় পানি উনয়ন বার্ডর উপ-বিভাগীয় প্রকশলী পার্থ সরকার বলন,মাননীয় পরিবশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মহাদ্বয়র নিদর্শক্রম বড়াল পানি প্রবাহ বদ্ধিও লক্ষ্যে বড়ালের উপরনির্মিত স্লুইসগটর কপাট উত্তালন করা হয়েছে। এতে আশা করা যায় মরাখাল পানি প্রবাহ বদ্ধি পাবে এবং বড়াল নদী তার প্রান ফিরে পাবে।