
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইউক্রেনের ‘যত অস্ত্র প্রয়োজন’, যুক্তরাষ্ট্র তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
সুলিভান বলেন, রাশিয়াকে আরও বেশি অঞ্চল দখল করা এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত রাখতে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে। মস্কোর ‘আগ্রাসনকে’ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়াশিংটন। খবর আল জাজিরার।
চলতি সপ্তাহে এবিসি নিউজকে সুলিভান বলেন, আমরা রাশিয়ানদের পরাজিত করার জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছি, যাতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

এ ছাড়া, রুশ অভিযান ঠেকাতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সীমান্তে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। রোববার (১০ এপ্রিল) জোটের মহাসচিবের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ইউরোপীয়দের নিরাপত্তার জন্য নতুন করে ভাবছে জোটটি। ইইউভুক্ত দেশগুলোর সেনাপ্রধানের সঙ্গে স্থায়ী সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া রুশ বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর নিপ্রোতে রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
হামলায় শহরের একটি বিমানবন্দর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও বিমানবন্দরটির কমপক্ষে ৬ কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন ও দেশটিকে পুনর্গঠনে তহবিল সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার কোটি ইউরো। শনিবার (৯ এপ্রিল) পোল্যান্ডে এ তহবিল সংগ্রহের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।

দৈনিক চারঘাট ইউটিউব চ্যানেলে SUBSCRIBE করুন।