
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আবারও প্রবল বেগে পানি ঢুকছে। বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। জলাবদ্ধতার মধ্যে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠানে এবং শয়নকক্ষেও হাঁটুপানি দেখা গেছে।
শনিবার (১৮ জুন) সকালে নগরীর বহদ্দারবাড়ি এলাকা ও মেয়রের বাড়িসংলগ্ন মূল সড়ক থেকে বাড়ির ভেতর পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সিটি মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘পানি ডিঙিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। জলাবদ্ধ কয়েকটি এলাকায় গিয়েছি। পাহাড় ধসের পর ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার কাজ দেখতে গিয়েছি।’ তার বাড়ির উঠান ও শয়নকক্ষে হাঁটুপানি বলে জানান তিনি।

সরেজমিন শনিবার ২৫টি এলাকায় হাঁটুসমান পানি দেখা গিয়েছে। আগেই প্লাবিত এলাকাগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় কোমর থেকে গলাসমান পানি দেখা গেছে।
নগরীর ভাতালিয়া, লামাবাজার, পাঠানটুলা, পায়রা মহল্লা, ফাজিলচিশত, মীরাবাজার, হাজীপাড়া, আখালিয়া, সুরমা, ভ্যালিসিটি, বাদামবাগিচা, সেনপাড়া, বালুচর, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বাগবাড়ি, বারুতখানা ও জল্লারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শনিবার সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশেও ভারি বৃষ্টি থাকবে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শনিবার সিলেট বিভাগের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সিলেট শহর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে, আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বা অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ। #সময় টিভি

দৈনিক চারঘাট ইউটিউব চ্যানেলে SUBSCRIBE করুন।